নিয়ন্ত্রণ হউক মহাসড়কের পাশে থাকা আবর্জনা

মো. জাকির হোসেন ।।

দেশের জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনার স্তুপ বাড়লেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের এটা নিয়ন্ত্রণে কোন আগ্রহ নেই। ফলে সড়কের পাশ থেকে এখন ময়লা-আবর্জনা সড়কের উপর জমছে। বদলে যাচ্ছে মহাসড়কের চিত্র।

দেশের প্রধান জাতীয় মহাসড়কটির কুমিল্লা অংশে রয়েছে জেলার দাউদকান্দি, চান্দিনা, বুড়িচং, আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অংশ বিশেষ। এর বাইরে রয়েছে কুমিল্লা সিটিকরপোরেশনের কিছু এলাকাও। মহাসড়কের প্রায় ১’শ কিলোমিটার রয়েছে কুমিল্লা অংশে। ঢাকা-চট্টগ্রামের অনেকটা মাঝামাঝি স্থানে হওয়ায় বানিজ্যিক ভাবে মহাসড়কের দু’পাশের কুমিল্লা অংশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল-রেষ্টুরেণ্ট, বহুতল ভবনসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান বা ভবন নির্মানের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিতে হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা মানা হয়নি। আর এসব প্রতিষ্ঠানের খাবারের উচ্ছিষ্ট বা পরিত্যক্ত অংশসহ বর্জ্য মহাসড়কের পাশে কোথাও না কোথাও ফেলা হচ্ছে প্রতিদিন। এতে দিন দিন এগুলো জমে বিশাল স্তুপ আকার ধারন করেছে। এক পর্যায়ে সেগুলো সড়কের উপর আছড়ে পড়ছে। বাড়ছে বায়ু দূষণ। পথচারীদের হাটা-চলা কার্যত বন্ধ। এসব এলাকার লোকজন বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কের উপর দিয়েই পারাপার হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, জেলায় মহাসড়কের দাউদকান্দি, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া, চান্দিনা, নিমসার, নাজিরা বাজার, আমতলী, আলেখারচর, বেলতলী, পদুয়ারবাজার, রামপুর, সুয়াগঞ্জ, মিয়াবাজার, চৌদ্দগ্রাম এলাকার একাধিকস্থানে রাস্তার পাশে প্রতিদিনই এসব ময়লা-আবর্জনা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, পরিত্যক্ত মালামাল অবাধে ফেলা হচ্ছে। কোথাও ছোট ভ্যান, কোথাওবা রিক্সা, ঠেলা গাড়িতে করে এসব মালামাল এনে ফেলা হচ্ছে। জাতীয় এই মহাসড়ক হয়ে দেশের আমদানী-রপ্তানী পন্যের সিংহভাগ যেমন আনা-নেওয়া হয়, তেমনি এই মহাসড়ক পথে পর্যটন খ্যাত কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই, রামগড়, খাগড়াছড়িসহ কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতির ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো দেখেতে দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটক বা দর্শনার্থীও যাতায়াত করে। দুরপাল্লার বিলাসবহুল গ্রীনলাইন, শ্যামলী, এসআলমসহ একাধিক পরিবহনের চালকরা জানান, মহাসড়কের এই অবস্থা দেখে চলন্ত গাড়ি থেকে অনেকেই মোবাইলে ছবি তোলেন। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছবি পোষ্ট করে। পদুয়ার বাজার, নাজিরা বাজার নিমসার এলাকার একাধিক স্থানীয় লোকজন জানান, মহাসড়কের পাশ যেন আবর্জনার ভাগাড়। এটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের সর্বাগ্রে ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি উপর নজর দেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বর্জ্য ব্যবস্থা না থাকায় মহাসড়কের পাশে এই ময়লা ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে, তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. লালন হায়দার জানান, ক্যান্টনমেন্ট, নাজিরা বাজার, কালাকচুয়া এলাকায় বিভিন্ন হোটেল, আবাসিক ভবন, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ময়লাগুলো রাতের আধারে ফেলা হচ্ছে। যায়গাটা যেহেতু সড়ক ও জনপদ বিভাগের সেহেতু কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!